আমার যখন ষোলো বছর বয়েস তখন আমি প্রথম অনুভব করি যে আমার মামী একজন নোংরা স্ত্রীলোক। আমি মামারবাড়ীতে মানুষ হয়েছি। আমার জন্মের সময় মা মারা যান আর বাবাও এক বছরের মধ্যে পরলোক গমন করেন। আমার মায়ের একমাত্র ভাই আমাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসে পালন করেন। আমার মামা-মামীর কোনো বাচ্চা হয়নি। আমি ওনাদের সন্তানের অভাব পুরণ করেছি। ছোটবেলা থেকেই আমি অনেককিছু লক্ষ্য করতাম, কিন্তু সেভাবে কোনদিন আমার মোটা মাথায় কোনকিছু বাড়ি মারেনি। ষোলো বছরে পা দিয়ে আমার দৃষ্টিশক্তি প্রখর হয়। যাক সে কথা, আমি বরঞ্চ প্রথম থেকে শুরু করি, নয়তো পাঠকদের বুঝতে অসুবিধে হবে।
আমি তখন সদ্য চোদ্দতে পা দিয়েছি। শুক্রুবারের রাত। মামার ইচ্ছেয় আমরা সবাই একটা নামী রেস্তোরায় খেতে গিয়েছি। সেটা কোনো বিশিষ্ট দিন ছিল, এমনিই মামার ইচ্ছে হয়েছিল সেদিন কোনো ভালো রেস্তোরায় ভালো করে ডিনার করবে। মামা একটা দামী স্যুট গায়ে দিয়েছে আর মামী একটা ডিজাইনার সিফন শাড়ি পরেছে। খাবার খুব চমত্কার ছিল। মামা-মামী ডিনার খেতে খেতে এক বোতল মদের ফরমাশ করে। সেটা দুজনে ভাগাভাগি করে শেষ করে ফেলে। ডিনার সারতে সারতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল. আমার প্রচন্ড ঘুম পেয়ে যায়। দুই চোখের পাতা ভারী হয়ে আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে আসছে। আমি আমাদের গাড়িতে ঢুকে পিছনের সিটে বসে গা এলিয়ে দি।
আমি প্রায় ঘুমিয়ে পরেছিলাম। পুরোপুরি ঘুমোতে পারিনি কারণ আমার কানে মামা-মামীর কথাবার্তা ভেসে আসছিল। হঠাৎ করে চোখে রাস্তার আলো পরে আমার চটকা ভেঙ্গে যায়। আমি কিন্তু উঠলাম না। চুপচাপ চোখ বন্ধ করে ম্যাদা মেরে পরে রইলাম, যদি আবার ঘুম এসে পরে। কিন্তু আমার কানে এমন কিছু গেল যাতে করে আমার চোখ থেকে ঘুম পুরোপুরি ভাবে উবে গেল।
মামী মামাকে বলছেন, “আমি পুরো ভিজে গেছি!”